চিজ না খেলে পাবেন যেসব উপকার
ফাস্ট ফুড বা সাধারণ রান্নায় চিজ দিলে এর স্বাদ বেড়ে যায়। কিন্তু আপনি কী জানেন, এই জিনিসটি খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের ওপর কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে? সোডিয়াম, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের সাথে ট্রান্স এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত চিজের ভালো এবং খারাপ উভয় প্রভাব রয়েছে। কিন্তু এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হাই কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং গুরুতর হৃদরোগ হতে পারে। তাই এটি সর্বদা সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিৎ। আসুন জেনে নিই চিজ খাওয়া ছেড়ে দিলে কী কী সুবিধা পেতে পারেন?
ওজন কমাতে সাহায্য করবে: চিজ খেলে ওজন খুব দ্রুত বাড়ে। আপনি যদি ওজন কমানোর কথা ভাবছেন, তাহলে প্রথমেই চিজ খাওয়া সীমিত করুন। কারণ এটি আপনাকে কখনই আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করতে দেবে না।
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে: প্রক্রিয়াজাত চিজ এবং দুগ্ধজাত পণ্যে প্রিজারভেটিভ, অ্যাডিটিভ এবং পাচক এনজাইম থাকে, যা প্রদাহকে ট্রিগার করতে পারে। প্রদাহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে যুক্ত, যেমন হৃদরোগ, স্থূলতা, বিপাকীয় সমস্যা এবং ক্যান্সার।
সুস্থ হৃদয়: কম চিজ খাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, যা ভবিষ্যতে কার্ডিওভাসকুলার রোগের কারণ হয়। কিছু কিছু চিজে উচ্চ মাত্রার ট্রান্স এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস: চিজ খাওয়া বন্ধ করা আপনাকে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে অনেক সাহায্য করবে। কেসিন হল একটি প্রোটিন, যা ডেয়ারি এবং দুধে পাওয়া যায়। যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
মাইগ্রেনে সমস্যা নিরাময়ে সহায়ক: নিয়মিত ওষুধ এবং অন্যান্য সতর্কতা সত্ত্বেও আপনি যদি মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে হতে পারে চিজ আপনার সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। টাইরামিন অনেক চিজেই পাওয়া যায়, যা এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড এবং রাসায়নিকের সাথে যুক্ত। এটি আপনার মাথাব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment